এডমিশন টেস্টে চান্স না পেলে তোমার সাথে যা হবে:-এগুলো আগে থেকেই শক্তি হিসেবে কাজে লাগাও।যা ভাবার এখনই ভাবো পরে ভাবলে লাভ হবে না।
★পাশের বাসার আন্টি এসে তোমার আম্মুকে বলে যাবে আমার বোনের ননদের দেবরের বউয়ের বড় ভাইয়ের মেজ মেয়ের বড় ছেলে তমুক ভার্সিটি তে চান্স পাইছে,আপনার ছেলে কোথাও পেলো না,কপাল টাই খারাপ আপনাদের,খুব কষ্ট লাগে আপনাদের কথা চিন্তা করে কত টাকা নষ্ট করছেন,কষ্ট করছেন ওর জন্য,আর ও আপনার মান সম্মান সব শেষ করে দিলো।
★তোমার সাথে যাদের কখনো কথাও হয় নাই তারা তোমায় দেখা মাত্র জিজ্ঞেস করবে, বাবা কোন ভার্সিটি তে চান্স পাইছো??যদিও তারা জানে তুমি কোথাও চান্স পাও নাই তবুও তুমি যে চান্স পাও নাই সেটা আবার মনে করিয়ে দিবে।
★চায়ের দোকানে তোমার আব্বুর সাথে আড্ডায় বলেই ফেলবে, আপনার ছেলে টা মেধাবী ছিলো কিন্তু মেয়েদের পিছনে ঘুরে,ফেসবুক চালিয়ে চালিয়ে একদম নষ্ট হয়ে গেলো,এদের আর মানুষ করতে পারলেন না।
★সারাজীবন পরীক্ষায় তোমার চাইতে খারাপ রেজাল্ট করা বন্ধু টা পাবলিক ভার্সিটি তে চান্স পেয়ে সকালে,বিকালে,দুপুরে নিয়ম করে ভার্সিটির লেগো সম্বলিত টি-শার্ট পড়ে পিক আপলোড দিবে সাথে নিচে হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লিখে দিবে ঢাবিয়ান,জাবিয়ান, রাবিয়ান,চবিয়ান,ইবিয়ান,বশেমুরবিপ্রবিয়ান ইত্যাদি ইত্যাদি। পোস্ট গুলো দেখে ডিপ্রেশনের অতল গহ্বর এ হারিয়ে যাবে।
★দুইটা গোল্ডেন পেয়েও কোথাও চান্স পায় নাই,নিশ্চয় টাকা দিয়ে প্রশ্ন কিনে পরীক্ষা দিয়েছিলো না হলে অবশ্যই চান্স পেতো।
★লোকজন বলবে,আমিই আগেই বলছিলাম তমুক এর ছেলে অমুক কে দিয়ে কিছু হবে না তবুও কেন যে এত্ত টাকা খরচ করলো ওই গাধাটার পিছনে,মাথায় আসে না।
★ ফ্যামিলি থেকেও সাপোর্ট খুব সৌভাগ্যবান না হলে পাবে না,কথায় কথায় চান্স না পাওয়ার জন্য কথা শুনাবে ফ্যামিলি মেম্বাররা।
★ বিলিভ মি বেশীরভাগ মানুষ ই তোমায় দাম দিবে না,তোমার গুরুত্ব থাকবে না। তুমি যে ব্যর্থ সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিবে তোমায়.....
নিজের সবটুকু দিয়ে পরিশ্রম করতে থাকো যেন এই সমস্যায় না পড়তে চাও....উপরের কথাগুলো বিশ্বাস না হলে কোনো চান্স না পাওয়া ভাই-বোনদের জিজ্ঞেস করিও, তারা এইসব পরিস্থিতি ফেস করে আসছে কি না....
.
যদি এসব পরিস্থিতি এড়াতে চাও তবে এখন থেকেই ভালোভাবে প্রিপারেশন নেও। সঠিক পরিকল্পনা করে পরাশুনা করতে হবে। পছন্দের ভার্সিটি গুলোর লিস্ট করে ওই অনুযায়ি প্রস্তুতি নিতে হবে। একদম ই সময় নষ্ট করা যাবেনা। একজন পরীক্ষার্থী কোচিং করুক বা না করুক কোচিংয়ের মডেল টেস্টগুলা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করে নিজে নিজে কোশ্চেন সলভ করতে পারলে তার প্রস্তুতি প্রায় অর্ধেক কমপ্লিট হয়ে যায়। এই ভর্তি পরীক্ষার কটা দিন একদম রুটিন মাফিক চলতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিলে অবশ্যই তুমি তোমার লক্ষ্যে পৌছতে পারবে।
আর হ্যাঁ, তোমার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ -এর উপর ভিত্তি করে কোন কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমার পরীক্ষা দেবার সুযোগ রয়েছে তা জানতে ভিজিট কর এখানে।
সাধ্যের মাঝে সেরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়টি বেঁছে নিতে ভিজিট করতে পারো আমাদের Compare cheapest private university in Bangladesh এই লিঙ্কে।
সব শেষে সকল শিক্ষার্থীদের জন্য শুভকামনা। আশা করি তোমাদের সামনের পরীক্ষা গুলো চমৎকার হবে এবং বাবা-মার শত কষ্টের সঠিক মূল্যায়ন করতে পারবে। ধন্যবাদ।
0 Comments
Leave A Comment